জামিন আবেদন নাকচ, কুয়েতের জেলে এমপি পাপুল



দেশনিউজ ডেস্ক|


মানবপাচার ও অর্থপাচারের দায়ে কুয়েতে আটক লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়ে তাকে জেলে পাঠিয়েছে কুয়েতের সংশ্লিষ্ট আদালত।
কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের একজন সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারি নাম প্রকাশ না করে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে দেশনিউজের পক্ষ থেকে এমপি পাপুলের স্ত্রী সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলামের মোবাইল নম্বরে ফোন দিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তার হোয়াটস অ্যাপ নম্বরে মেসেজ পাঠালেও কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।

শনিবার রাতে মুশরিফ আবাসিক এলাকার বাসা থেকে এমপি পাপুলকে আটক করে কুয়েতের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট। এরপর রোববার বিকেলে তাকে দেশটির পাবলিক প্রসিকিউশন ডিপার্টমেন্টে পাঠানো হয়। এখানে তার জামিনের জন্য আবেদন করা হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তার জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়ে তাকে জেলে পাঠান।
যদিও এমপি পাপুলের স্ত্রী সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম দাবি করছেন-তার স্বামীর আটকের বিষয়টি গুজব।
অন্যদিকে, এমপি পাপুলের আটকের বিষয়ে রোববার রাতে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, কুয়েতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম লক্ষ্মীপুরের সাংসদ কাজী শহিদ ইসলামকে আটকের বিষয়টি টেলিফোনে ঢাকায় জানিয়েছেন। যদিও কুয়েতের কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশকে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রোববার পর্যন্ত কিছু জানায়নি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কুয়েত থেকে রাষ্ট্রদূত আমাকে জানিয়েছেন লক্ষীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র সাংসদ কাজী শহিদ ইসলাম আটক হয়েছেন বলে শুনেছেন। সেখানকার সিআইডি তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গেছে। সাংসদ কুয়েতে একটি বড় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত। ওই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান– যিনি কুয়েতের নাগরিক, সাংসদকে জামিনে মুক্ত করার জন্য তিনি চেষ্টা করছেন। সাংসদকে কেন নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে কুয়েতের কর্তৃপক্ষ কিছু জানায়নি বলেও রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন। তবে ওনার বিরুদ্ধে মুদ্রা পাচার ও মানব পাচারের অভিযোগ কেউ দিয়েছে। তাছাড়া যেহেতু বড় ধরনের ব্যবসা পরিচালনা করেন, সেখানে তাঁর সঙ্গে অন্যদের ব্যবসায়ী প্রতিদ্বন্দ্বিতাও রয়েছে।
আব্দুল মোমেন বলেন, এই ঘটনা সত্যি হয়ে থাকলে খুবই দুঃখজনক। বিদেশে গিয়ে একজন সাংসদ এ ধরণের অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়াবেন তা একেবারেই অনভিপ্রেত। এমন সময় এই ঘটনাটা ঘটেছে যখন পৃথিবীর সব দেশ মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত। এমন সময়ে সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসাটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এতে লজ্জিত।
এদিকে রাতে কুয়েতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম গণমাধ্যমকে বলেছেন, সাংসদ কুয়েত সিআইডির হেফাজতে রয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email