শ্রিংলার ‘আকস্মিক সফর’ নিয়ে সংসদীয় কমিটির প্রশ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক।

সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে নানা আলোচনার মধ্যে আকস্মিক সফরে ঢাকায় এসেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। শ্রিংলার এই সফর নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সংসদীয় কমিটি। দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নের চ্যালেঞ্জ নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের সিদ্ধান্তও হয়েছে।

আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে শ্রিংলার সাম্প্রতিক সফর নিয়ে আলোচনা হয়। সংসদীয় কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে কমিটির সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনও ছিলেন।

ফারুক খান বলেন, ‘বৈঠকে শ্রিংলার অনানুষ্ঠানিক সফরের বিষয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। আমরা জিজ্ঞেস করেছি, উনি আনঅফিশিয়াল ভিজিটে আসলেন কেন? কূটনৈতিক সফর আনঅফিশিয়াল হয়? মন্ত্রণালয় আমাদের জানাল, এরকম সফর হয়। আগের শিডিউলড ভিজিট না। এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বার্তা পৌঁছে দেওয়া।’

দুই দিনের আকস্মিক সফরে গত ১৮ অগাস্ট সকালে ঢাকা পৌঁছান ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শ্রিংলা। সফরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক হয় তার। শ্রিংলা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করলেও সরকারের তরফে কিছু জানানো হয়নি। 

শ্রিংলার এই সফরে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের টিকা ভারতে উৎপাদিত হলে তা পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অগ্রাধিকার পাবে বলে আশ্বস্ত করেছে ভারত। চীন-ভারত সীমান্ত দ্বন্দ্বের প্রেক্ষাপটে শ্রিংলার এই সফর ছিল বেশ আলোচিত। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের বিভিন্ন সংবাদপত্রে বাংলাদেশের অবস্থান নিয়ে নানা খবর আসে।

সেসব খবর নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিবের কথা হয়েছে বলে জানান ফারুক খান। তিনি বলেন, ‘বৈঠকে এ বিষয়টি আমরা তুলেছিলাম। মন্ত্রণালয় আমাদের জানিয়েছে তারাও ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের কাছে বিষয়টি তুলেছিল। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারাও বিষয়টি নিয়ে ভাবছে। তবে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর নিয়ে তাদের কিছূ করার নেই।’

এই বৈঠকে বাংলাদেশ ও তার প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে বর্তমান সম্পর্কের চ্যালেঞ্জ এবং সম্পর্ক উন্নয়ন নিয়ে আলোচনার সূচি ছিল। এই আলোচনা পরবর্তী বৈঠকে হবে বলে সংসদীয় কমিটির সভাপতি ফারুক খান জানান।

সংসদের কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী সংসদীয় কমিটির বৈঠক এমনিতেই রুদ্ধদ্বার। তারপরও ‘রুদ্ধদ্বার’ বলতে কী বোঝাচ্ছেন- প্রশ্নে ফারুক খান বলেন, ‘কমিটির সদস্যদের বাইরে বৈঠকে অনেকেই উপস্থিত থাকেন। সামনের বৈঠকে আমরা উপস্থিতি ঠিক করে দেব। সেজন্য ক্লোজড ডোর বলা হচ্ছে।’

রোববারের বৈঠকে কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ, গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স, আব্দুল মজিদ খান, হাবিবে মিল্লাত, নাহিম রাজ্জাক, কাজী নাবিল আহমেদ ও নিজাম উদ্দিন জলিল (জন)  উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সম্প্রতি লেবাননের রাজধানী বৈরুতে বিস্ফোরণের পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশিদের অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়।

ডিএন/পিএন/জেএএ/১১:১০পিএম/২৩৮২০২০৩৩

Print Friendly, PDF & Email