এবার মশার প্রজনন ধ্বংসে করতে হবে আবেদন, দিতে হবে ফি

নিজস্ব প্রতিবেদক।

এবার বাসাবাড়ি ও বাণিজ্যিক ভবনে মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। সঙ্গে দিতে হবে সিটি করপোরেশন কর্তৃক নির্ধারিত ফিও। বুধবার বিকেলে নগর ভবনের ব্যাংক ফ্লোরে অনলাইনের মাধ্যমে মশার প্রজননস্থলে সেবা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে এমনটাই জানালেন দক্ষিণের মেয়র ফজলে নুর তাপস।

মেয়র বলেন, মশক নিধনে আমাদের সমন্বিত কার্যক্রমে ঢাকাবাসী সুফল পাওয়া আরম্ভ করেছে। আমরা গৎবাঁধা নিয়ম থেকে বেরিয়ে নতুনভাবে সাজাচ্ছি মশক নিধন কার্যক্রম তারই অংশ অনলাইনের মাধ্যমে আবেদনের প্রেক্ষিতে মশার বংশ বিস্তার ধ্বংসের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আগে চিরুনি অভিযান করেও দেখা গেছে বিভিন্ন বাড়ির আঙিনায় যেখানে আমাদের যাওয়ার সুযোগ কম সে সব জায়গায় মশার লার্ভা জমে থাকে বা মশার উৎপত্তিস্থল হয়ে থাকে। অভিযানে সেগুলো ধ্বংস করা হতো এবং জরিমানা আদায় করা হতো।

মেয়র বলেন, এবার পরিবর্তন এনেছি জরিমানার পর্যায়ে যাওয়ার আগে আমরা অভিনব কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। আমার অত্যন্ত কম মূল্যে সেবা দিতে চাই। ঢাকাবাসী আবেদন করে সেখানে টাকা পরিশোধ থেকে শুরু করে সেবা প্রদানের পর সবকিছুই অনলাইনে জানা যাবে।

কোন বাড়ির জন্য কত টাকা দিতে হবে তা তুলে ধরে মেয়র বলেন, আমরা মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছি। ৩ কাঠা আয়তনের এক ইউনিট বাড়ির ৫ তলা পর্যন্ত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার টাকা। আর ৩ কাঠা থেকে ৫ কাঠা আয়তনের জায়গার ফ্ল্যাট বাড়ির জন্য প্রতি ফ্লোরে ২৫০০ টাকা। এছাড়া ৫ কাঠা থেকে ১০ কাঠা আয়তনের ১০ তলা বাড়ি হলে দিতে হবে সাড়ে ৩ হাজার টাকা। আর যদি অ্যাপার্টমেন্ট বাড়ির বেসমেন্টসহ ১০ তলার ওপরে হয় তাহলে দিতে হবে ৫ হাজার টাকা এবং বাণিজ্যিক ভবনের জন্য এই মূল্য ৮ হাজার টাকা।

তিনি বলেন, আমরা চাই ঢাকাবাসী নিজে সচেতন হয়ে আমাদেরকে জানাক যে তার আঙিনায় লার্ভা এখনো আছে। ডেঙ্গুর বিস্তার আছে। আবেদন পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে আমাদের কর্মীরা গিয়ে মশার বংশ বিস্তার ধ্বংস করে দিয়ে আসবে।

মেয়র বলেন, আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব না, কোথায় লার্ভা আছে বা মশা বংশ বিস্তার করছে। তাই ঢাকাবাসী আমাদের জানালে আমরা পরিষ্কার করে দিয়ে আসব। এই কার্যক্রম একবারে ডিএসসিসির ৭৫টি ওয়ার্ডেই হবে। একটা ট্রাকিং সিস্টেম থাকবে। তাতে কোনো বাড়িতে সেবা দেওয়া হলে তিনি জানাতে পারবেন। এতে ঢাকাবাসীর দায়ত্বিবোধ বাড়বে। এখন দিচ্ছি জরিমানা ছাড়া। জরিমানা যেটা করা হতো তার চেয়ে অনেক কম মূল্যে এই সেবা দেওয়া হবে। তাছাড়া অভিযানে গেলে অনেক সময় বাড়ির মালিকরা হয়রানির শিকার হতো বা অসন্তোষ প্রকাশ করত।

মেয়র বলেন, এরপরেও যদি কোথাও মশকের বিস্তার দেখা যায় বা নির্মাণাধীন ভবনে মশার বংশ বিস্তার থাকে তাহলে শেষ পর্যায়ে আমরা অভিযান করবো এবং জরিমানা আদায় করা হবে। সেটা ১ আগস্ট থেকে করার কথা থাকলেও ঈদুল আজহার কারণে মাস খানেক পিছিয়ে যেতে পারে।

তাপস বলেন, আমাদের বছরব্যাপী কার্যক্রম চালু আছে। আশাকরি আগামী দিনগুলোতে ঢাকাবাসীকে আর ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখতে হবে না।

ডিএন/সিএন/জেএএ

Print Friendly, PDF & Email