• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

রফতানি বাড়াতে নতুন বাজার সৃষ্টির তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর

0001নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রফতানি বাড়াতে নতুন বাজার তৈরির তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে বিশ্ব বাজারে চাহিদার প্রতি খেয়াল রেখে পণ্য উৎপাদন করারও আহ্বান জানান তিনি।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ২১তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা আয়োজনের ফলে দেশি বিদেশি ক্রেতারা বিভিন্ন নতুন নতুন পণ্যের সঙ্গে পরিচিত হতে পারে। বিদেশিদের অংশগ্রণের ফলে আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা নতুন অভিজ্ঞতা পাবেন। আর এই মেলার মাধ্যমে রফতানি আয় বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি বলেন, দিন দিন বাংলাদেশর প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আগ্রহ বেড়ে চলছে। তাই ব্যবসায়ীদের একটা পণ্য ধরে বসে থাকলে চলবে না। পণ্যের বহুমুখীতা নিশ্চিত করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বিশেষ করে আমি ব্যবসা করতে আসিনি, দেশের উন্নয়নে কাজ করতে এসেছি। ব্যবসায়ীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়ার জন্য এসেছি।

তিনি বলেন,   অতীতেও আমরা পণ্য রফতানি করছি। বর্তমানে বিশ্বের ১৯২ দেশে ৭২৯টি পণ্য  রফতানি করছি। কিন্তু সমস্যা হলো কোনো ব্যবসায়ী একটা পণ্য নিয়েই বসে থাকে। এই পণ্যই তিনি রফতানি করছেন। তিনি মনে করেন, এটাই সব সময় রফতানি করতে হবে। তা না করে পণ্য উৎপাদনে ব্যবসায়ীদের বহুমুখী হতে হবে। বিশ্বের বিভিন্ন বাজারে কি ধরনের পণ্যের চাহিদা রয়েছে সে অনুযায়ী পণ্য উৎপাদন করতে হবে। তাহলেই রফতানি বাড়বে।

ব্যবসায়ীদের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক সময় আমাদের দেশের জাহাজ রফতানি হতো। মাঝখানে এ শিল্পের রফতানি বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু সরকার তাদের প্রনোদনা দিয়েছে। এতে দেশ থেকে পুনরায় জাহাজ শিল্পের রফতানি বাড়ছে।

তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নে শিল্প কারখানায় একটি জিনিস উৎপাদন করলে চলবে না , দেশের ইন্ডাস্ট্রিগুলোকে বহুমুখীকরণ করতে হবে। তাদেরকে ভাবতে হবে কি কি জিনিস রফতানি করা যায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রফতানি বাড়াতে রফতানি বিষয়ক গবেষণার জন্য ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পোশাক শিল্পের জন্য গার্মেন্ট শিল্প পার্ক স্থাপন করছি। অনেক আগেই জায়গা দিয়েছি। কিন্তু এখনো গার্মেন্ট মালিকরা বসে আছে। বসে থাকলে চলবে না। গার্মেন্ট পল্লী হলে রফতানি আরও বাড়বে। এক্ষেত্রে বেসরকারি সেক্টরকে আরও এগিয়ে আসতে হবে। একই সঙ্গে পণ্যের মান উন্নয়ন ওব্রান্ডিংয়ের দিকে খেয়াল রাখার আহ্বান জানান তিনি।

দেশের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এবার প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৫ ভাগের অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। যা অনেক উন্নত দেশ করতে পারেনি। মূল্যস্ফিতি ২০০৯ সালে ডাবল ডিজিটে চলে গিয়েছিল আমরা তা সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে এনেছি। আগে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল ৪৩ মার্কিন ডলার কিন্তু এখন ১৩১৪ মার্কিন ডলারে উন্নতি হয়েছে। ৫ কোটি মানুষ নিম্নবৃত্ত থেকে মধ্যবিত্তে উঠে এসেছে।

রিজার্ভের বিষয় উল্লেখ করে শেখ হাসিন বলেন, দেশের রিজার্ভ ২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। দেশের উন্নয়ন প্রকল্পের ৯০ ভাগ স্বঅর্থায়নে করছি। কারো কাছে ভিক্ষা করি না। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে রফতানি বাড়াতে হবে । তাই আমাদের পণ্য কোথায় বাজার আছে তা খুঁজে বের করা , সেভাবে রফতানি করার জন্য ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ছাড়াও দেশি বিদেশি ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email