তিন সপ্তাহে ভারতে ১০ লাখ করোনা আক্রান্ত হতে পারে

দেশনিউজ ডেস্ক।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণে বৃহস্পতিবার ১০ লাখের গণ্ডি অতিক্রম করে ভারত। রবিবার ভোরের সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০ লাখ ৭৭ হাজার ৮৬৪ জন।

এই সময় জানায়, গত ২ জুলাই থেকে ভারতে প্রতিদিন গড়ে ২০ হাজারের বেশি করোনা সংক্রমিত হচ্ছিল। তবে শেষ তিন দিনে ছবিটা সম্পূর্ণ বদলে যায়।

গত তিন দিনে ১ লাখের বেশি কভিড পজিটিভ কেস ধরা পড়েছে। শনিবারও ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৭ হাজার ৪০৭ জন।

ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০০০ থেকে ১ লাখে পৌঁছাতে সময় নিয়েছিল ৫১ দিন। সেখানে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস ১০ লাখের গণ্ডি অতিক্রম করেছে আর মাত্র ৫৯ দিন।

রেকর্ড বলছে, মোট সংক্রমিত ১০ লাখে পৌঁছাতে সময় লেগেছে চার মাস। রিপোর্ট যে ইঙ্গিত দিচ্ছে, তাতে আক্রান্ত ১০ লাখ থেকে ২০ লাখ হতে সময় লাগবে একমাসও নয়, মাত্র তিন সপ্তাহ!

ভারতে করোনা সংক্রমণ কখন চূড়ায় গিয়ে ঠেকবে, ইতোমধ্যে এ নিয়ে জল্পনা চলছে। ব্যক্তি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এ নিয়ে ভবিষদ্বাণী করছেন।

আইসিএমআরের ভবিষ্যদ্বাণী বলছে, চলতি বছরের নভেম্বরের মাঝামাঝি ভারতে করোনা সংক্রমণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছবে।

আরেকটি গবেষণা বলছে, নভেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না। আগস্টের মাঝামাঝি করোনা সংক্রমণ পিক-এ পৌঁছে যাবে।

গত মে মাসে এআইআইএমএস -দিল্লির ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া দাবি করেন, সংক্রমণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাবে জুন থেকে জুলাইয়ের মধ্যে। বর্তমান যা পরিস্থিতি তাতে গুলেরিয়ার ওই ভবিষ্যদ্বাণী মেলা সম্ভব নয়। এই মধ্য জুলাইয়ে কোভিড সংক্রমণ অস্বাভাবিক হারে বাড়তে শুরু করেছে। এত তাড়াতাড়ি পিকে পৌঁছা অসম্ভব।

বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে হেলথ ইকোনমিস্ট ডক্টর রিজো এম জন দাবি করেন, ১১ আগস্টের মধ্যে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০ লাখের গণ্ডি অতিক্রম করবে। তার দাবি অনুযায়ী, ১০ থেকে ১১ আগস্টের মধ্যে এই সংখ্যা অতিক্রম করবে।

তিনি আরও দাবি করেন, ভারতে করোনা সংক্রমণ ৩২ লাখে পৌঁছাতে সময় লাগবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।

এর আগে ৮ জুন এই হেলথ ইকোনমিস্ট দাবি করেছিলেন, ২২ জুলাইয়ের মধ্যে দেশে করোনা আক্রান্ত ১০ লাখের গণ্ডি অতিক্রম করবে। বাস্তবে ১৬ জুলাইয়ের মধ্যে আক্রান্ত ১০ লাখ অতিক্রম করে।

পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট ডাক্তার কে শ্রীনাথ রেড্ডির দাবি, ভারতে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিই করোনা সংক্রমণ শিখর ছুঁয়ে ফেলবে।

তবে, কিছু শর্ত জুড়ে দেন তিনি। তার বক্তব্য, লোকজনের আচরণ ও সরকারের ভূমিকার ওপরই তা অনেকটা নির্ভর করছে। লোকজনকে মুখে মাস্ক পরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে রাস্তাঘাটে চলতে হবে। কভিড সংক্রান্ত অন্যান্য বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে।

রেড্ডির বক্তব্য, লকডাউনের দ্বিতীয় পর্যায় পর্যন্ত কভিড সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ছিল। তার পর ক্রমশ সেই রাশ হালকা হয়েছে।

তার ধারণা, ভারতে এক-একটা রাজ্যে এক-এক সময়ে পিক টাইম আসবে। গোটা দেশে একসঙ্গে সংক্রমণ পিকে পৌঁছাবে না।

Bottom of Form

ডিএন/আইএন/জেএএ/১০:৩০এএম/১৯৭২০২০৬

Print Friendly, PDF & Email