পশুর হাটে ডিএমপির ১১ নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক।

আসন্ন ঈদুল আজহায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুর হাট চালাতে ১১ ধরনের নির্দেশনা দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।

রাজধানীতে পশুর হাটে প্রবেশের পথে পানির ট্যাংক, বেসিন, সাবান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। ফেস মাস্ক পরা ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেয়া হবে না।

ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, পশুবাহী ট্রাক বা নৌকা আটকিয়ে এক হাটের পশু অন্য হাটে নামানো যাবে না।  পশুর হাটে অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি, পকেটমার ও ছিনতাই রোধে পুলিশ তৎপর থাকবে।  ঈদুল আজহা ও তার পরে বাসা-বাড়ি, দোকান, মার্কেট, সোনার দোকান ও ব্যাংকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বুধবার ডিএমপি সদর দপ্তরে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং ট্রাফিক ব্যবস্থা সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় ডিএমপি কমিশনার  ইজাদারদের পশুর হাট পরিচালনায় এসব নির্দেশনা দেন।

ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশনার মধ্যে আছে-

পশুর হাটে ঢোকা ও বের হওয়ার আলাদা পথ থাকতে হবে। হাটে প্রবেশপথে প্রয়োজনীয় সংখ্যক তাপমাত্রা মাপার যন্ত্রসহ লোকবল রাখতে হবে।

সামাজিক দূরত্ব অন্তত তিন ফুট বজায় রাখতে হবে। জ্বর, সর্দি-কাশি, শরীর ব্যথা ইত্যাদি নিয়ে আসা কোনও ব্যক্তিকে হাটে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।

অসুস্থ পশু হাটে বেচাকেনার জন্য আনা যাবে না।

শিশু ও ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের হাটে প্রবেশে নিরুৎসাহিত করতে হবে। একজন পশু বিক্রেতার কাছে বেশি মানুষকে ভিড় করতে দেয়া হবে না।

স্বল্প সময়ে পশু কিনে হাট ছেড়ে যেতে হবে।

স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকারীর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত কঠোর ব্যবস্থা নেবে। এছাড়া পশুর হাট ভ্রাম্যমাণ দোকান ও হকার বসতে দেয়া হবে না।

সভায় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশন, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ রেলওয়ে, ফায়ার সার্ভিস, র‌্যাব, নৌ পুলিশ, বাংলাদেশ সড়ক-পরিবহন মালিক সমিতি, পশুর হাটের ইজারাদার ও বাংলাদেশ ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি ও ডিএমপি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ডিএন/পিএন/জেএএ/১০:৩৪এএম/২৩৭২০২০৮

Print Friendly, PDF & Email