পার্বত্য শান্তি চুক্তি বিশ্বনেতা শেখ হাসিনার একমাত্র প্রচেষ্টার ফসল : তথ্য প্রতিমন্ত্রী


তৃতীয় পক্ষের সংশ্লিষ্টতা ছাড়াই আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের মাত্র দেড় বছরের মধ্যে ১৯৯৭ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বে পার্বত্য শান্তি চুক্তি করেছে , চুক্তির অধিকাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে, বাকি সব পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন হবে। পার্বত্য শান্তি চুক্তির পর দ্রুত আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রশংসনীয়। পার্বত্য শান্তি চুক্তি নিঃসন্দেহে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর সফলতা এবং দূরদর্শিতার বহিঃপ্রকাশ।

রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে দৈনিক পত্রিকা ভোরের কাগজ ও ICLDS কর্তৃক আয়োজিত পার্বত্য শান্তি চুক্তি : প্রত্যাশা, প্রাপ্তি ও করণীয় শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি বক্তৃতায় মাননীয় তথ্য প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন ।

পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগ সরকার সর্বোচ্চ সক্রিয়। পার্বত্য এলাকার জনপ্রতিনিধিদের প্রতি দৃষ্টি রেখে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নে আপনারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামের দীর্ঘ ২২ বছরের সহিংসতার নিরসনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা বিশ্বনেতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একমাত্র প্রচেষ্টার ফসল।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য এলাকার আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি, ভূমি দখলের মত বিষয় মাঝেমধ্যে উৎশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি করে থাকে। এই বিষয়গুলো স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জনগণকে সমাধান করার কথা বলেন। পার্বত্য এলাকার আঞ্চলিক বিভিন্ন সংগঠন স্বার্থপর, সুবিধাভোগী। যারা অপরাধের সাথে জড়িত তাদের আইনের আওতায় বিচার করা হবে।

পার্বত্য এলাকার জনগণের প্রতি প্রতিমন্ত্রী বলেন বিভিন্ন এলাকায় আঞ্চলিক নামে জনগণ পরিচিত, কিন্তু এটা তার সার্বিকভাবে পরিচয় নয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলাদেশে জাতি হিসেবে আমরা সবাই বাঙালী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়ার প্রত্যয় সবার থাকতে হবে।

পার্বত্য তিন জেলার জনগণের জন্য বর্তমান সরকার প্রধানের বিশাল অবদান। শুধু পার্বত্য এলাকার জন্য আলাদা ভূমি আইন করা হয়েছে। এখানের প্রতিটি জনগণ যাতে নাগরিকের সর্বোচ্চ সুবিধা পায়, প্রধানমন্ত্রী তার ব্যবস্থা করেছেন। প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ সুবিধার দেওয়ার জন্য সোলার সিস্টেমের ব্যবস্থা করেছে এই সরকার। ১১ তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন এ আওয়ামী লীগের ইশতেহার ছিল “আমার গ্রাম আমার শহর ” সেই আলোকে গ্রামে বসে যাতে শহরের সব সুবিধা গ্রামে পৌছানোর ব্যবস্থা আওয়ামী লীগ সরকার করছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিনোদন, বাসস্থানের মত সমস্ত সুবিধা এখন পার্বত্য অঞ্চলে পাওয়া যায় অনায়াসে।

পার্বত্য এলাকার পর্যটন শিল্প বাংলাদেশের জন্য অনেক সম্ভাবনাময়, পর্যটন শিল্পের আরো আধুনিকায়ন করার প্রতি নজর দিবেন এই সরকার। পার্বত্য অঞ্চলের পর্যটন বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখবে বলে প্রতিমন্ত্রী বিশ্বাস করেন।

গোলটেবিল বৈঠকে দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্তের সঞ্চালনায় এবং ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান এর সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মঞ্জুর আহমেদ বুলবুলসহ আরো অনেকে।

-তথ্য বিবরণী

Print Friendly, PDF & Email